আ.লীগ নেতা ও অপসারিত কাউন্সিলর তৌহিদের যত অপকর্ম! | তদন্ত রিপোর্ট

রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
নযথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো নাচোলের রাণী ইলা মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল উপলক্ষে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের দুই নেতার শুভেচ্ছা ও প্রেরণার বার্তা “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বড়াইগ্রামে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ” নোঙর সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান এর ৫৯ তম জন্মদিন পালন করলো উত্তরণ পাবনা  বড়াইগ্রামে জামায়াতে ইসলামী’র বিশাল জনসভা শুক্রবার — জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে প্রস্তুত প্রশাসন পুঠিয়ার শিলমারিয়ায় সনাতনী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ভাঙ্গুড়ায় আড়াই লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস সিলেটে আ.লীগ নেতা বালু আপ্তাব পুলিশের জালে বাগমারা গণিপুরে অধ্যাপক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩১ দফা গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, থমথমে পরিস্থিতি এলাকায়।
আ.লীগ নেতা ও অপসারিত কাউন্সিলর তৌহিদের যত অপকর্ম!

আ.লীগ নেতা ও অপসারিত কাউন্সিলর তৌহিদের যত অপকর্ম!

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্রের মহড়া, মামলার আসামী হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্রের মহড়া, মামলার আসামী হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে

Manual4 Ad Code

তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদক: এস এম শওকত আমীন তৌহিদ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের সদ্য অপসারিত কাউন্সিলর। সিসিকের দায়িত্ব ফেলে বৃটেনে পালিয়ে যাওয়া অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর একান্ত আস্তাভাজন ছিলেন। বিগত ২০২৩ সালে ২১ জুন বিএনপি বিহীন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিকজিশনের নির্বাচনে কাউন্সিল হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এমনকি সিসিক থেকে তাকে বরাদ্ধ দেওয়া অফিসটিকেও পরিণত করেছিলেন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে।

সর্বশেষ ৪ আগষ্ট শাহী ঈদগায় জালালাবাদ গ্যাস কোয়াটার এর সামনে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্ঠা করে। প্রকাশ্য দিবালোকে ১৯নং ওয়ার্ডে মটর সাইকেলে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রকাশ্যে বলে যায় কেউ যদি ছাত্র জনতার পক্ষ নিয়ে কথা বলে তাদের কে দেখে নিবে। মামলার আসামী হয়েও এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। জনমনে প্রশ্ন কেন থাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ১৯নং ওয়ার্ডে তার ছিল মহিলাকর্মী, কেউ তার সাথে কোন বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ড করলে তার বিরোধিদেরকে তার মহিলা বাহিনী দিয়ে হেরেসমেন করে অভিযোগ দিয়ে রাতের আধারে গ্রেফতার করিয়ে থানায় নিয়ে যেত। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সাবেক কাউন্সিল এস এম শওকত আমীন তৌহিদ তাদেরকে ছাড়িয়ে দিতেন। এই ভয়ে ১৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কোন কথা বলতো না। এখন লোক মুখে শুনা যাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে উনি এখন বিএনপির রাজনিতির সাথে সক্রিয় হতে চেষ্ঠা চালাচ্ছেন। যিনি এক সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বাসায় পুলিশ বাহিনী দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি করতো এবং গ্রেফতার করিয়ে থানায় নিয়ে যেত সে এখন বিএনপিতে কিভাবে যোগ দেওয়ার চেষ্ঠা চালায় এটা এখন ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীদের প্রশ্ন।

Manual5 Ad Code

গুগলে সার্চ দিলে বেরিয়ে আসে সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ এর যত কুকৃর্তিঃ জানা যায় সিলেটের ১৯নং ওয়ার্ডের রায়নগর রাজবাড়ির শীব মন্দির হাউজিংয়ের জায়গার রাস্তা দখল নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি-২০২২ থেকে হামলা করেন সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মৃত নন্দ গোপাল পুরকায়স্থের স্ত্রী স্নিগ্ধা পুরকায়স্থ বাড়িতে হামলার পর মামলা, এবার মিলছে ককটেল জাতীয় বস্তু। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী-২০২২) দুপুরে নন্দগোপালের ছেলে প্রীতিরাজ ককটেল জাতীয় দ্রব্যটি পাওয়ার খবরটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের লোকেরা ঘটনাস্থলে এসে ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে। ২০২২ সালে এস এম শওকত আমীন তৌহিদ আ.লীগের সভাপতি হতে চেষ্ঠা চালান। এই জন্য মহানগর আ.লীগের শীর্ষ এক নেতাকে খুশী করতে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ইংরেজি নববর্ষের ক্যালেন্ডার ও শুভেচ্ছা কার্ড বিলি করে এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানে মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনকে প্রধান অতিথি করে এবং নিয়মিত টাকা পয়সা প্রধান করে। ১৯নং ওয়ার্ডে পানির লাইন দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। যারা টাকা দিতে বিলম্ব বা অনিচ্ছুক তাদেরকে পানির লাইন দিতে হেরেজম্যান করা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় এস এম শওকত আমীন তৌহিদ বিবরণ জমা দেয় ১,৬০,০০০/- তার বার্ষিক আয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের সম্পদের হিসাব দেয় ১,৪০,০০০/- টাকা। নগদ অর্থের পরিমাণ হিসাব দেয় ২,২৪,১৭৫/- টাকা। সে বিগত পাঁচ বছরে বিপুল অংকের টাকার মালিক হলো কিভাবে জন মনে প্রশ্ন জাগে? সিটি কর্পোরেশনে কাজ পেয়ে এবং অন্য ঠিকাদারের কাজ ভাগিয়ে নিত তারা ১৯নং ওয়ার্ডের কাজ দেখিয়ে মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জামিলকে নিয়ে ১৯নং ওয়ার্ডের কাজ অর্ধেক করে। উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করে ফেলত তাদের ভয়ে কেউ কথা বলত না এভাবে উন্নয়নের নামে ওয়ার্ডে টাকা আত্মসাৎ করে লুটপাট আর ভাগাভাগি করে নিয়ে যেত তারা ওয়ার্ডে ডেইনের ব্যবস্থা উন্নয়ন ও রাস্তা বর্ধিতকরণের নামে ওয়ার্ডবাসী থেকে বিপুল অংক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। ১৯নং ওয়ার্ডেও ডেইনের কাজ করতে গিয়ে রায়নগর থেকে শাহী ঈদগাহ, দর্জিবন্দ, দর্জিপাড়া, মিতালী, খারপাড়া বাসীন্দারা টাকা দিতে অস্বিকৃতি করলে তাদের কাজ হয়ে যায় ধীরগতি। অভিযোগ আছে অনেক বাসা-বাড়ির মালিক থেকে টাকা নিয়ে তাদের কাজ দ্রুত শেষ করে। এস এম শওকত আমীন তৌহিদ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জামিল এর ভয়ে ১৯নং ওয়ার্ডবাসী কোন কথা বলত না।

নগরীর চৌহাট্টা টু বন্দর বাজার পয়েন্টে সৌন্দর্যবর্ধনঃ কাউন্সিলর তৌহিদের লোটপাট সিলেট নগরীর চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, সুরমা পয়েন্টের সৌন্দর্যবর্ধনের ৯ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের ঠিকেদারি প্রতিষ্টান মামুন এন্টারপ্রাইজ। এই প্রতিষ্টানের কাজ কিনে নিয়েছেন কাউন্সিলর তৌহিদ । নিবাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, কাউন্সিলর তৌহিদকে বারবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ অতি নিম্নমানের হচ্ছে। সঠিকভাবে করুন। কিন্তু তিনি তা কর্ণপাত করেননি ২ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে হাই এন্ড কোম্পানি, কিন্তু এই কাজ কিনে নিয়েছেন তৌহিদ । সিসিকের উন্নয়নে ২ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে হাই এন্ড কোম্পানি, কিন্তু এই কাজ কিনে নিয়েছেন কাউন্সিলর তৌহিদ। সাড়ে তিন বছর ১৯নং ওয়ার্ডে যতো উন্নয়ন কাজ হয়েছে কিনে নিয়েছেন তৌহিদ। এলাকাবাসীর দাবি সাড়ে তিন বছরের সব উনয়ন কাজের টাকা জলে গিয়েছে । পকেট ভারী হয়েছে কাউন্সিলর তৌহিদের। কেএসএপিসিজেবির প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ কিনে নিয়েছেন তৌহিদ কেএসএপিসিজেবি নামক কোম্পানির লাইসেন্স এ (অরুণ গোপ) দর্জিপাড়া, সোনারপাড়া, খারপাড়া, মুক্তার খাকিরমানি ড্রেইন রাস্তার কাজের সম্পূর্ণ টেন্ডার কিনে নিয়েছেন কাউন্সিলর তৌহিদ বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এর সত্যতা স্বীকার করেছে সিসিকের প্রকৌশলী শাখার কর্মকর্তারা।

Manual7 Ad Code

শাহজাহান ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন রাজবাড়ী-মিতালি আবাসিক এলাকার কিনেছেন তৌহিদঃ শাহজাহান ঠিকাদার (আখালিয়া) তার নিকট থেকে রায়নগর রাজবাড়ী মিতালি আবাসিক এলাকা প্রায় ১ কোটি টাকার কাজ কিনেছেন কাউন্সিলর তৌহিদ তার ব্যবসায়িক পার্টনার সালাউদ্দিন (শেখঘাট কুয়ারপার) এর কাছ থেকে ১কোটি টাকার কাজ কিনেছেন ১০ লাখ টাকা দিয়ে কাউন্সিলর তৌহিদ। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের ক্ষেপেছেন মেয়র আরিফ।

কাউন্সিলর তৌহিদের ২ কোটি টাকার বাড়িঃ কাউন্সিলর তৌহিদ থাকতেন কুঁড়েঘরে তিন বছরের মাথায় বহুতলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন ২ কোটি টাকা দিয়ে। বাড়িতে আনুমানিক দেড় কোটি টাকার আসবাবপত্র এবং বিশ লক্ষ টাকার জীপ গাড়ি কিনেছেন তিনি। ক্যাডারবাহিনীর জন্য আছে ১০ টি মোটরসাইকেল ।

কাউন্সিলর তৌহিদের রাজকীয় বিয়েঃ সম্প্রীতি কোটি টাকা খরচ করে ৫৫ বছর বয়সে রাজকীয় বিয়ে করেছেন কাউন্সিলর তৌহিদ।
ইউএনডিপি এনজিও নিয়ে কাউন্সিলর তৌহিদের দুর্নীতি ঃ ২০১৯ এ ইউএনডিপি এনজিওর ৪টি সিটিসির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই ৪টি সিটিসি পরিচালিত হয় শিবাণী দাসের সভাপতিত্বে। ইউএনডিপির সহ-সভাপতি প্রিয়া বেগম সিটিসির ৪টির ১ম টি দর্জি বন্ধ ১এর ক্যাশিয়ার শিল্পী দাস। ২য় টি দর্জিবন্ধ এর ক্যাশিয়ার ফাতেহা আক্তার, ৩য় টি দপ্তরিপাড়া ১ এর ক্যাশিয়ার জয়া। এবং ৪র্থটি দপ্তরিপাড়া ২ এর ক্যাশিয়ার তানজিনা । কাউন্সিলর তৌহিদ ইউএনডিপি এনজিওর টাকা আত্মসাৎ করছেন।

সভাপতি শিবানী দাস ও কোষাধ্যক্ষ তানজিনা আক্তার নিয়ে। ২০১৯ সালে সভাপতি শিবানীর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ও দপ্তরিপাড়া ১ এর ক্যাশিয়ার জয়ার এর নিকট থেকে ৭৬ হাজার টাকা এবং দপ্তরিপাড়াই এর ক্যাশিয়ার তানজিনা আক্তার ৮০ হাজার সর্বমোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা (ইউএনডিপির সদস্যদের টাকা) তাদের থেকে কাউন্সিলর তৌহিদ স্বাক্ষর ব্যাতিত নেন । ২০২১ এ সালে ২৭ লাখ টাকা ইউএনডিপি অনুদান দেয়। এই অনুদানের সম্পূর্ণ টাকা কাউন্সিলর তৌহিদ আত্মসাৎ করেন । ইউএনডিপি গভীর নলকূপ প্রতিটি দেড় লক্ষ টাকা করে ৮টি নলকূপের অনুদান আসে ১৯ নং ওয়ার্ডে এর মধ্যে স্থাপন হয় ৩টি, বাকি ৫টির টাকা আত্মসাৎ করে তৌহিদ । ইউএনডিপির বাথরুম ও গোসলখানা ৮০ হাজার মূল্যের ১২টি আসে। এর স্থাপন হয় ৫টি। বাকি ৭টির টাকা আত্মসাৎ করে তৌহিদ। কোভিড ১৯ এ ইউএনডিপি স্যানিটেশন এর জন্য বেসিন ও ড্রাম সাবান, হাত পরিষ্কারক স্যানিটাইজার ১৯ নং ওয়ার্ডে ১০টি মহল্লার ১২ হাজার করে বরাদ্দ করা হয়। কিন্ত সব টাকাই আত্মসাৎ করেন কাউন্সিলর তৌহিদ। এসময় কাউন্সিলর তৌহিদ নিজেকে ইউএনডিপি কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি দাবি করেন। বর্তমানে ইউএনডিপি সদস্য পনেরেশর এর অধিক। প্রতি সদস্য সপ্তাহে ১০ টাকা করে জমা দেন সদস্যরা। যার সঞ্চয়ের পরিমান ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু কাউন্সিলর তৌহিদ হিসাব দিচ্ছেন না সদস্যদের সঞ্চয়ের। ২০১৯ সালের জুন মাসে ৪০ জনকে ইউএনডিপি ট্রেনিং নেয়ার বাবদ দেয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ঐ টাকাও আত্মসাৎ করেছেন কাউন্সিলর তৌহিদ। ইউএনডিপি শিক্ষাভাতা ২৪০০ টাকা করে ৩৬ জনের জন্য আসে অথচ ১২জন পান ১২০০ টাকা করে দেয়া হয় বাকি টাকাও আত্মসাৎ করেন তৌহিদ। একিবছর ইউএনডিপির ব্যবসায়িক ঋণ বাবদ ৯ হাজার টাকা করে ১৮ জনের তালিকা আসে। এর মধ্যে মাত্র পান ৭ জন পান ৬ হজার করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে তৌহিদ। ২০২১ সালে ইউএনডিপির ব্যবসায়িক ঋণ বাবদ ১০ হাজার করে ৩৬ জনের তালিকা আনে কিন্তু এর মধ্যে ৮ জন পায় মাত্র ৭ হাজার করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন তৌহিদ । কাউন্সিলর তৌহিদের সব অপকর্মের সহযোগী রুমা দাস সম্প্রীতি ইউএনডিপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ফাতেহা আক্তার ও কোষাধ্যক্ষ জোনাকী রায় ইউএনডিপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে হয় সকল সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। কিন্তু কাউন্সিলর তৌহিদ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট লোকদের এইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসন রাখেন। রুমা দাসের ছোট ভাই শুভ লাল দাসকে দিয়ে সুদের ব্যবসা করছেন এর নেপথ্যে আছেন তৌহিদ।

কোভিড ১৯ এ অবহেলিত গরিব ও অসহায় মানুষের ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎঃ কোভিড ১৯ এ অবহেলিত গরিব ও অসহায় ১৯ নং ওয়ার্ডবাসীর ত্রাণ বাবদ চাউল, ডাল, তেল, পেয়াজ, আলু, সাবান, লবণ, নিত্যপয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের তালিকায় ২০০০ টাকা করে ৫০ জনের নামে আসে কিন্তু কাউন্সিলর তৌহিদ ১০ জনকে দিয়ে বাকিটা আত্মসাৎ করেন।

এনজিও আরডিএস এর টাকা আত্মসাৎ করেছেন কাউন্সিলর তৌহিদঃ এনজিও আরডিএস এর টাকা আত্মসাৎ করেছেন কাউন্সিলর তৌহিদ। আরডিএস এর মাধ্যমে ১৯ নং ওয়ার্ডে ৪টি স্কুল কর্মজীবি মানুষের জন্য এর বরাদ্দ আসে মাত্র ১টি স্কুল বিদ্যমান। কিন্তু এখানে কোনো কর্মজীবি লেখাপড়া করে না। লেখাপড়া করে কিছু শিশু আর এই স্কুলের শিক্ষিকা রুমা দাস, ফাতেহা বেগম ও ফারজানা বেগম।

Manual2 Ad Code

১৯নং ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট ও ড্রেন সংস্কারের নামে কাউন্সিলর তৌহিদের দুর্নীতিঃ কাউন্সিলর তৌহিদ ১৯নং ওয়ার্ডে রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের সময় প্রতিটি বাড়িতে লাল দাগ দেন। এর পরেই শুরু হয় কাউন্সিলর তৌহিদের বাণিজ্য। যারা টাকা দেয় তারা রক্ষা পায় আর যারা টাকা দেয় না তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়। এব্যাপারে দপ্তরী পাড়ার ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি কামরুনাহার তামান্না বলেন, কাউন্সিলর তৌহিদ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অধিগ্রহণ না করে বিনা নোটিশে আমার বাসার বাউন্ডারি দেয়ালসহ যারা কাউন্সিলর তৌহিদ কে টাকা না দেয়ায় উনি আমার বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেছেন । তিনি আরো বলেন, ২ বছর থেকে দেয়াল না থাকায় আমার গোটা পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এই অবস্থায় আমি নিরাপত্তা পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

Manual2 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code
error: Content is protected !!